ব্রেকিং নিউজ

Friday, February 28, 2020

দিল্লিতে মুসলিম গণহত্যা বন্ধ এবং মোদির সফর বাতিল করতে হবে: ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশে আল্লামা কাসেমী




দিল্লিতে মুসলিম গণহত্যা বন্ধ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির বাংলাদেশ সফর বাতিলের দাবিতে সমমনা ইসলামী ৬টি দল আজ বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে বিশাল এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ’র মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেছেন, আমরা গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, ভারতে নতুন নাগরিকত্ব আইন ও নাগরিকপঞ্জি তৈরির বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদের কারণে দেশটির সংখ্যালঘু মুসলমান সম্প্রদায়ের উপর উগ্রবাদী হিন্দুরা নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছ। ভারতের রাজধানী দিল্লিতে বেশ কয়েক দিন ধরে পদ্ধতিগত মুসলিম গণহত্যা চললেও দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, আদালত, রাজ্য সরকার; কেউই তা থামাতে কার্যকর কোন প্রদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। তাছাড়া দিল্লীতে একের পর মসজিদে হামলা চলছে। সেখানে মসজিদের মিনারগুলোতে হিন্দুধর্মীয় প্রতীক স্থাপন করা হচ্ছে। যা মুসলমানদের ঈমান-বিশ্বাস-অনুভূতির প্রতি চরম অবমাননাকর। এটা মুসলিম বিশ্ব নিরবে সহ্য তরতে পারে না।

ভারতের দিল্লীতে মুসলিম গণহত্যা, মসজিদ মাদরাসা ও মুসলমানদের বাড়ী ঘরে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে আজ (৮ফেব্রয়ারি) শুক্রবার বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইটে সমমান ইসলামী রাজনৈতিক দলসমূহ আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ’র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমীর পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড.আহমদ আব্দুল কাদের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর সহসভাপতি আল্লামা আব্দুর রব ইউসূফী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ে, খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, নায়বে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের মাসচিব মাওলানা মোস্তফা তারিকুল হাসান, ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব মাওলানা ডা.আব্দুল করিম, খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, জমিয়তের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মুনির হোসাইন কাসেমী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, এনডিপি’র চেয়ারম্যান কেএম আবু তাহের, খেলাফত মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সাল, জমিয়তের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মতিউর রহমান গাজীপুরী, প্রচার সম্পাদক মাওলানা জয়নুল আবেদীন প্রমুখ।




বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে বিশাল এক মিছিল বের করা হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী আরো বলেন, এই হত্যা চালানোর সময় বাংলাদেশের সরকারসহ বিশ্বসমাজ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশ সরকার এই গণহত্যার জন্য প্রধানতম দায়ী ব্যাক্তি নরেন্দ্র মোদিকে শিগগির বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। যা এ মুহূর্তে বাংলাদেশের মুসলমান জনগোষ্ঠীর জন্য চরম উস্কানিমূলক। বাংলাদেশের মানুষ খুনি মোদিকে এই দেশে পা রাখতে দিবে না। প্রয়োজনে বিমানবন্দর ঘেরাও দিয়ে হলেও রুখে দিবে।

আল্লামা কাসেমী দিল্লিতে মুসলিম গণহত্যার সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশে বিদ্যমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সহনশীল ব্যবস্থাবিরোধী কোন উস্কানী যেন কেউ না দিতে পারে সে বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকারও আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, আমাদের দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটূট রাখতে এবং ভারত সরকারের মুসলিমবিদ্বেষী অপতৎপরতার প্রতিবাদ জানাতে জালেম নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর অবশ্যই সরকারকে বাতিল করতে হবে। কারণ, দেশের শান্তিকামী মানুষ গুজরাটের কসাইখ্যাত দিল্লি গণহত্যার খলনায়ক নরেন্দ্রমোদিকে বাংলাদেশের মাটিতে কোনক্রমেই সহ্য করবে না।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ -এর সহসভাপতি শায়খুল হাদীস আল্লামা আবদুর রব ইউসুফী বলেন, ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদি গোষ্ঠি সে দেশের সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় মুসলমানদের উপর জুলুম নির্যাতনের যে নীল নকশা তৈরি ও বাস্তবায়ন করে চলেছে, তার বিরুদ্ধে বিশ্ব মানবাধিকার গোষ্ঠি, বিশেষ করে মুসলমানদের কঠোর প্রতিরোধ গড়ে না তুললে বিশ্ব পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপ ধারণ করবে।

তিনি বলেন, বিশ কোটি মুসলিম অধ্যূষিত ভারতের মুসলিম নিধনে যদি হিন্দুত্ববাদিরা সফল হতে পারে, তাহলে বিশ্বের অন্যান্য অমুসলিম দেশও ভারতের পদাংক অনুসরণ করতে পারে। এক সময় হয়তো মুসলিম রাষ্ট্রসমূহে অবস্থানকারী হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়েও ঝুঁকি হতে পারেেে ৷

No comments:

Post a Comment